পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বৈঠক শেষে বলেন, “সমস্ত রাজনৈতিক দল এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং সরকার যেকোনও পদক্ষেপ নিলে বিরোধী পক্ষ সম্পূর্ণ সমর্থন জানাবে।”
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা চাই জম্মু-কাশ্মীরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তি ফিরে আসুক।” রাহুল গান্ধী আগামীকাল অনন্তনাগে যাবেন, যেখানে আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেন্দ্রের পাশে আছি। দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে। সমস্ত দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানাবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ের বাইসারান উপত্যকায় লস্কর-ই-তৈবার ছত্রছায়ায় থাকা একটি জঙ্গি গোষ্ঠী পর্যটকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু।
মৃতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিক ছাড়াও ভারতের ১৪টি রাজ্যের পর্যটক রয়েছেন।
সরকার বদলার বার্তা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্দাস জলচুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, অটারী সীমান্ত বন্ধ এবং ভারতে থাকা সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। আগে যেমন উরি ও পুলওয়ামার জবাবে সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বিমান হানা হয়েছিল, তেমন সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে সূত্র জানিয়েছে, সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।
বিকেলে এক ধাপে আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে সরকার ঘোষণা করেছে, ভারতে থাকা সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা, এমনকি মেডিকেল ভিসাও বাতিল করা হবে — যা রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা ভারত-পাকিস্তানের সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, এমনকি ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিও স্থগিত করার কথা ভাবছে। পাশাপাশি, তারা দিল্লিতে ভারতীয় দূতাবাসে কূটনীতিক সংখ্যা কমানোর হুমকিও দিয়েছে।