নবান্নের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিরোধী দলনেতাকে চিঠি দিয়ে সোমবার বেলা একটায় মানবাধিকার কমিশন-সহ অন্য দুই নিয়োগের ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে টুইটে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে যাবেন না। ‘এদিন শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে না যাওয়ার কারণ হিসেবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন।
নবান্নের বৈঠকে না যাওয়ার কারণ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী এদিন টুইট করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতা এবং মাননীয় রাজ্যপাল কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা না মেনে চলার কারণে এদিন তিনি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, লোকাযুক্ত এবং রাজ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য নবান্নের ডাকা বৈঠকে তিনি যাবেন না।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন বিকেল ৪টের এবং সাড়ে ৪টের সময় নবান্নের ১৪ তলায় কনফারেন্স হলে লোকায়ুক্ত, তথ্য কমিশনার, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বৈঠক ডাকা হবে। রাজ্যপালের সুপারিশে বিরোধী দলনেতাকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চলতি সপ্তাহে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকার কাছ থেকে তিনটি চিঠি পান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অবশ্য আগেই বৈঠক এড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বৈঠক সংক্রান্ত তথ্য ও নথি চেয়েছেন। সেই নথি না পেলে বৈঠকে যোগ দেবেন না।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে জানিয়েছেন, নবান্নের বৈঠকে হাজির থাকতে তাঁকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তাতে ভুল ছিল। ডকুমেন্টেশন শেয়ার না করা এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, লোকাযুক্ত এবং তথ্য কমিশনার নিয়োগে জন্য নোটিশ সংশোধন করতে ব্যর্থতার কথা টুইটে তিনি উল্লেখ করেছেন। মর্যাদার সঙ্গে আপস করার অভিযোগের পাশাপাশি ছলচাতুরির অভিযোগও করেছেন তিনি।
টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং মাননীয় রাজ্যপাল কর্তৃক জারি করা নির্দেশ অমান্য করার কারণে আমি আজ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অন্য সদস্য নির্বাচন, লোকায়ুক্ত এবং রাজ্য তথ্য কমিশনারের নিয়োগের বিষয়ে নবান্নে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দেব না।