নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন করল নির্বাচন কমিশন। এতে মোট ভোটারের সংখ্যা ২,৫২,৬৭০, যা আগের তালিকার (২,৫৪,৮৭৮) তুলনায় ২,২০৮ জন কম।
এই সংশোধন এমন একটি বিশেষ সার-সংক্ষেপ পর্যালোচনার (Special Summary Revision) মাধ্যমে করা হয়েছে, যেখানে নাম বাতিল, ঠিকানা পরিবর্তন, নতুন ও প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্তি, ভোটার কার্ড সংশোধন ও প্রতিবন্ধী ভোটার চিহ্নিতকরণ হয়েছে।
৮ এপ্রিল প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড খসড়া তালিকার পর ৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আপত্তি ও দাবি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর ৫ মে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন আধিকারিক, এবং ৭ মে এক বিবৃতিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (CEO) জানান, “৩০৯ জন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালিয়েছেন এবং ৬৬০ জন বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যাচাই করেছেন। সমস্ত আপত্তি নিষ্পত্তির পর সংশোধিত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হয়েছে।”
এই সংশোধনের তাৎপর্য রয়েছে কারণ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বছরের শুরুতে ভোটার তালিকায় জাল EPIC নম্বর ও অন্যান্য রাজ্যের ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ ওঠে। ফেব্রুয়ারিতে দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, গুজরাট ও হরিয়ানা থেকে ‘ভুয়ো ভোটার’ এনে তালিকা ভরানো হয়েছে এবং এর পেছনে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির হাত আছে।
এ দিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে স্থগিত নির্বাচন! দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া উপনির্বাচন স্থগিত নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভায়। তা ছাড়া প্রশ্ন উঠছে, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে কেন উপনির্বাচন? চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন কালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। তারপর থেকে আসনটি খালি। এখন নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্য়ে উপনির্বাচন করাতে হবে এই আসনে। কিন্তু গোটা রাজ্যজুড়েই এখন ‘ভুতুড়ে’ ভোটার খোঁজার কাজ চলছে। ফলে কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা যায়নি।