একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এ বার এই এপিক নম্বর বিতর্কে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করা হবে। শুক্রবার নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেকনিক্যাল টিম এবং সংশ্লিষ্ট সিইওদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যমান ও ভবিষ্যতের ভোটারদের জন্য একটি ‘ইউনিক এপিক নম্বর’ নিশ্চিত করা হবে।
কমিশন জানিয়েছে, ২০০০ সালে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এপিক নম্বরের সিরিজ বরাদ্দের সময় কিছু ইআরও সঠিক সিরিজ ব্যবহার করেননি। ফলে ভুল সিরিজের কারণে একাধিক ভোটারকে একই এপিক নম্বর দেওয়া হয়েছে, যা আগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
একই নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছেন, এমন অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের তির ছিল নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে। কমিশনের এই পদক্ষেপকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে তৃণমূল।