কেদারনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবের দুই রোপওয়ে প্রকল্পে অনুমোদন, ব্যয় ৬,৮০০ কোটি টাকার বেশি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কেদারনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবের জন্য দুটি রোপওয়ে প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার সম্মিলিত ব্যয় ৬,৮০০ কোটি টাকার বেশি, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্প

মন্ত্রী জানান, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের ব্যয় হবে ৪,০৮১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত নির্মিত হবে এবং এটি জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প – পর্বতমালা পরিকল্পনার অংশ।

এই রোপওয়ে চালু হলে কেদারনাথে পৌঁছাতে মাত্র ৩৬ মিনিট লাগবে, যেখানে বর্তমানে ৮-৯ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতিটি গন্ডোলার (কেবিন) ধারণক্ষমতা ৩৬ জন। এই প্রকল্পের নির্মাণে অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কেদারনাথ মন্দির, যা ১২টি পবিত্র জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি, ৩,৫৮৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। গৌরিকুণ্ড থেকে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চড়াই পথ পায়ে হেঁটে, টাট্টু বা পালকিতে চড়ে বা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অতিক্রম করতে হয়।

প্রস্তাবিত রোপওয়ে প্রকল্পটি চালু হলে, এটি শুধু যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হবে না, বরং সারা বছর সোনপ্রয়াগ ও কেদারনাথের মধ্যে সংযোগ বজায় রাখবে।

কেদারনাথ মন্দির এপ্রিল-মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়া থেকে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দীপাবলি পর্যন্ত খোলা থাকে এবং প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষ দর্শনার্থী এখানে আসেন।

হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্প

মন্ত্রিসভা ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্পও অনুমোদন করেছে, যার ব্যয় হবে ২,৭৩০ কোটি টাকা।

এই রোপওয়ে গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে।

হেমকুণ্ড সাহিব গুরুদ্বারা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি গুরু গোবিন্দ সিংজির ধ্যানস্থল ও ভগবান লক্ষ্মণের তপস্যাস্থল হিসেবে পরিচিত।

গুরুদ্বারাটি মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ মাস খোলা থাকে এবং প্রতি বছর ১.৫ থেকে ২ লক্ষ ভক্ত এখানে আসেন।

এছাড়া, এই ট্রেক রুটে “ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স” জাতীয় উদ্যানও রয়েছে, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। এটি উত্তরাখণ্ডের গরওয়াল হিমালয়ের অন্যতম সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র।

পর্বতমালা পরিকল্পনার অধীনে তৈরি এই দুটি রোপওয়ে প্রকল্প ধর্মীয় পর্যটনকে আরও সহজ করবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Related posts

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫ ঘোষণা, কারা পেল কোন পুরস্কার?

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে