বোলপুর: শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও শান্তিনিকেতনে নিজের আশ্রমের আশ্রমিকদের পঞ্চতিক্ত পাঁচন খাইয়ে ছিলেন শরীরের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। এ বার গাছতলায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হতে চলেছে শান্তিনিকেতনে।
বিশ্বভারতীর অদূরে খোয়াইয়ের সোনাঝুরি হাটের কাছে চলবে এই কর্মকাণ্ড। এই কাজে বল্লভপুর ডাঙায় গড়ে উঠছে আয়ুর্বেদ আশ্রম। স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর উদ্যোগে মার্চ থেকে রাজ্যবাসীর জন্য শুরু হচ্ছে গাছতলায় চিকিৎসা।
স্ট্রেস, কিডনি, লিভার, ডায়াবেটিস প্রভৃতি অসুখে ভোগা মানুষের কথা ভেবেই তৈরি হচ্ছে আয়ুর্বেদ আশ্রমটি। ঠিক হয়েছে, অন্তত সাতদিনের কোর্স করানো হবে। যাঁরা চিকিৎসা করাতে আসবেন, তাঁদের আশ্রমেই থাকতে হবে। এই কয়েকদিন ধূমপান বা মদ্যপান থাকবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
সোনাঝুরি হাটের কাছে আদিবাসীপাড়া। এখানে আছে ভালোবাসা বৃদ্ধাশ্রম। তার পাশেই গড়ে উঠছে আয়ুর্বেদ আশ্রম। এই কর্মকাণ্ডের মূল রূপকার আবদুস সামাদ জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ ভারতে থাকলেও পূর্ব ভারতে এই ধরনের চিকিৎসার সুযোগ নেই। কেরল থেকে চিকিৎসক এবং কর্মীরা এসে এই আশ্রমে থাকবেন। প্রকৃতির মাঝে গাছতলায় তাঁরা সাবেকি পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করবেন।’ উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ অলাভজনক। তবে থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট মূল্য নেওয়া হবে।
বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশ্রমে বিভিন্ন ভেষজ গাছের চাষ করতে চান কর্তৃপক্ষ। ভারত সেরা ‘তুলসিগ্রাম’ প্রকল্পের জনক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বাসবকান্তি দিন্দারও সাহায্য চান উদ্যোক্তারা। কোচবিহারের কয়েকশো স্কুলে তাঁর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ভেষজ উদ্যান। তুলসি, অ্যালোভেরা, বাসক, থানকুনির মতো অজস্র ভেষজ গাছ রোপন হবে শান্তিনিকেতনের আশ্রমে। সরকারিভাবে চিঠি পেলে এই উদ্যোগে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন বাসববাবু।