প্রথম পাতা খবর বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

320 views
A+A-
Reset

কলকাতা: ১৪ দিনের মাথায় উদ্ধার বাগুইআটির অপহৃত ছাত্রদের দেহ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার চার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। ব্যাপক ভাঙচুর মূল অভিযুক্তের বাড়িতে।

গত ২২ আগস্ট অপহরণ করা হয় সুমিত দে ও অভিষেক নস্কর নামে বাগুইআটির দুই কিশোরকে। পর দিন থানায় অভিযোগ করেন সুমিতের বাবা বিশ্বনাথ দে। প্রাথমিক ভাবে প্রতিবেশী সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেন তিনি।

তদন্তে নেমে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎ বসু নামে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মঙ্গলবার বিধাননগর পুলিশ জানায়, সত্যেন্দ্রর সঙ্গে অতনুর পরিবারের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। ২২ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরেই সত্যেন্দ্রর ফোন পায় অতনু। একটি বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্রকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল অতনু। একটি গাড়িতে করে সত্যেন্দ্রর সঙ্গে রাজারহাটে একটি বাইকের শোরুমে যায় দুই কিশোর। কিন্তু বাইক পছন্দ হয়নি। এর পর শোরুম থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে তারা। বিধাননগর পুলিশের দাবি, রাত ৯টা-১০টার মধ্যে গাড়ির মধ্যেই দুই কিশোরকেই গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।

এর পর একজনের দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে। অপর দেহ ফেলে দেওয়া হয় বসিরহাটে। অভিজিতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের ভিত্তিতে বসিরহাট থেকে অতনুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিছুক্ষণের ব্যবধানে উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহও।

কিন্তু খুন করার পরেও অতনুর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। এসেছিল এসএমএসও। সেখানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ১ কোটি চাওয়া হয় বলে জানান বিধাননগর পুলিশের ডিসিপি ডিডি বিশ্বজিৎ দাস।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নামে শামিম আলি, শাহিল মোল্লা, দিব্যেন্দু দাস এবং অভিজিৎ বোস। তবে বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র-সহ দু’জন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বিনয় মিশ্রর আত্মীয়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথোপকথন? জোরালো দাবি তৃণমূলের

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.