দুর্গাপুজোর আগে বাঙালির পাতে ইলিশের খবর এ বার খানিক মিশ্র। সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, এ বছর ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে প্রায় ৩,০০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সেটি কমিয়ে ২,৪২০ টন করা হয়েছিল। এ বার সেই পরিমাণ আরও কমিয়ে ১,২০০ টন নির্ধারণ করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে রফতানি করা যাবে।
বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চাহিদা বরাবরই আকাশছোঁয়া। ২০১৫ সালের রফতানি নীতিতে ইলিশকে শর্তসাপেক্ষ রফতানি পণ্যের তালিকায় রাখা হলেও বিদেশে ইলিশ রফতানির অনুমতি প্রথম দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। তার পর থেকে পুজোর সময়ে নিয়মিত ভারতে ইলিশ এসেছে। যদিও শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তবু দুর্গাপুজোর আগে ব্যতিক্রম হিসেবে অনুমতি দেওয়া হতো।
হাসিনার সরকারের পতনের পরে ভারতে ইলিশ রফতানি নিয়ে গত বছর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে ইউনূস প্রশাসন জানিয়েছিল, উৎসবের সময়ে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখা হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা তুলে ধরা হয়েছিল কারণ হিসেবে। পরে অবশ্য চাপের মুখে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। সরকার জানিয়েছিল, ইলিশ রফতানি কোনওভাবেই ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।
তবে এ বছর ইউনূস সরকার রফতানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। ফলে পুজোর বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা।