বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসা অব্যাহত। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫। দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর সরকার সারাদেশে কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নেন। এ খবর জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, আইন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্রবিক্ষোভ চলছে। গত সোমবার থেকে ক্রমে যার ঝাঁজ বাড়তে শুরু করেছে। ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা শুরু হয় এবং মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ছ’জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে যে সকল জায়গায় সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী সহায়তা প্রদান করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”