বাংলাদেশের রাস্তায় উদ্ধার হয়েছে সেদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দী লাশ। এই ঘটনায় দেখা দিয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই এই হত্যার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত অভিনেত্রী শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এক বন্ধুকে।
সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি নাটক ও চলচ্চিত্রের পরিচিত অভিনেত্রী ছিলেন।
কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমদিকে কিছু বোঝা না গেলেও দ্রুত এই রহস্য পরিষ্কার হয় সবার সামনে। বাংলাদেশে পুলিশ এই ঘটনায় প্রথমে শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এক বন্ধুকে প্রথমে আটক করে।
বাংলাদেশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এক বন্ধুকে প্রাথমিকভাবে আটক করেছে পুলিশ। খুব দ্রুত এই রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে প্রকৃত ঘটনা সবার সামনে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে পরে বিস্তারিতভাবে জানাবেন বলেও তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এর পরপরই জানা যায় যে, শিমুর স্বামী নোবেল নিজেই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। অন্তত বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে বাংলদেশে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক কাজী রমজানুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানান, লাশটি টুকরো টুকরো করে দুটি বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগও পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিমু গত রবিবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বে্রিয়ে যান। তাঁর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ওই দিন রাতে কলাবাগান থানায় জিডি করেন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, রবিবার সকাল ১০টার দিকে শিমু কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যান।এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় শিমুর বস্তাবন্দী লাশ। এই ঘটনার জেরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে।