পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী যুদ্ধের সূচনা করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, ৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার থেকেই রাজ্যে দলীয় পর্যায়ে ভোটের প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে। নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও ঘোষণা না হলেও, বিজেপি কার্যত ভোটের ঢাক বাজিয়ে দিয়েছে বলা যায়।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রচারের প্রথম ধাপে রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৩ হাজার পথসভা করা হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বড় জনসভা করবে বিজেপি, যেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
মোদীর ৭টি জনসভা, শাহ-রাজনাথও আসছেন
বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, দুর্গাপুর ও দমদমে তিনটি সভা করেছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসে আরও অন্তত সাতটি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই তালিকার প্রথমটি ২০ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাটে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার ঠিক পরদিন।
দলের ইঙ্গিত—প্রয়োজন হলে মোদীর জনসভার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরতিহীন সফরও থাকবে।
১৫ জানুয়ারি থেকে বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক জনসভা
বিজেপির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ জানুয়ারির পর প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে পৃথক জনসভা হবে। সেই সব সভায় রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-নেতার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।
এত তাড়াতাড়ি প্রচার কেন?
এই প্রশ্নে সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি উত্তর মেলেনি। তবে পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এসআইআর শুরু মানেই নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তাই প্রচারও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা জরুরি। যা প্রয়োজন, আমরা তাই করছি।”
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ধারণা, এসআইআর নিয়ে উত্তাপ এবং জেলায় জেলায় রাজনৈতিক মেরুকরণের সুযোগ নিতে চাইছে বিজেপি। তাই নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই আগাম প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ল গেরুয়া শিবির।