দলের এক নেত্রীর শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতিকে। বুধবার নবদ্বীপের রামসিতাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।”
গত মঙ্গলবার নির্যাতিতা নেত্রী নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতার স্ত্রী তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর ছেলের জন্য একজন গৃহশিক্ষক খুঁজে দিতে। সেই অনুযায়ী, এক শিক্ষককে ঠিক করে ১২ জানুয়ারি তিনি বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ফোন করেন, তবে ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছেন ওই নেত্রী। তাঁর দাবি, নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের কাছে একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা-সহ তিনজন তাঁর স্কুটি আটকান। তাঁকে সজোরে ধাক্কা মেরে স্কুটি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁর হাত ধরে টানাটানিও করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজেপি নেতার দাবি, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তিনি জানান, বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “যে কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু ঘটনার সত্যতা বিচার করাই আসল কাজ।”
এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “যে দলে মহিলারা সুরক্ষিত নন, সেই দল সমাজের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সাধারণ মানুষ তা বিচার করবেন।”