বাড়তি গুরুত্ব উত্তরবঙ্গে! বর্তমানে রাজ্য কমিটির পাঁচ সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অন্তত তিন জনকে সরানো হতে পারে।
ডেস্ক: সোমবার দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি গেলেন প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। এর পরই দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য-রাজনীতিতে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে (গত ২০ সেপ্টেম্বর) কার্যত আচমকা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিপদে সুকান্তর নাম ঘোষণা করা হয়। বিজেপি সাংসদ দিলীপকে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি পদে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যস্তরের সংগঠনের শীর্ষপদ থেকে দিলীপকে অপসারণের মাধ্যমে বড়োসড়ো রদবদলের ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য সংগঠনের ভোলবদলের সূচনা এখানেই।
অন্য দিকে, সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকান্তর আগামী দিনে তাঁর কাজের বিশ্লেষণ, ভাবনা-চিন্তা বিনিময়-সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতেই তিনি দিল্লি গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নতুন সভাপতি যে দলের সংগঠনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আগামী দিনে কাজের সুবিধায় সাংগঠনিক রদবদল নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
দিল্লি গিয়ে আগামী মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত। এ ছাড়া দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি একই সঙ্গে দিলীপ এবং অমিতাভকে তলব করায় রাজ্য সংগঠনের খোলনলচে বদলের চিন্তাভাবনা থাকতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে স্থির হতে পারে রদবদলের রূপরেখা। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে রাজ্য কমিটির পাঁচ সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অন্তত তিন জনকে সরানো হতে পারে। বিশেষ করে, এ বারের বিধানসভা ভোটে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ বিজেপির নজর এখন উত্তরবঙ্গে। ফলে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে রাজ্য সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণপদে নিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রিয়ঙ্কা জিতলে নিজের ‘চেয়ার’ ছেড়ে দেবেন শুভেন্দু!
তার উপর ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। তার আগে রাজ্যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরের ভোটেও শাসক দল তৃণমূলকে টক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা থাকাটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে দিলীপের অপসারণ এবং বাবুল সুপ্রিয়র মতো হেভিওয়েট নেতার দলত্যাগের পর আরও বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করছে রাজ্য বিজেপিতে।