সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি তৃণমূলের।
ইমনকল্যাণ সেন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মমতার শাড়ি, ফোনের দাম নিয়েও মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপি নেতার এহেন বক্তব্যের নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
গতকাল সুকান্ত বলেন, ‘মমতার হাতে যে অ্যাপলের ফোটনা আছে, সেটা তিনি কোথা থেকে কিনেছেন? তিনি যদি ভাতা না নিয়ে থাকেন, তা হলে কি বিনামূল্যে কেই তাঁকে এই ফোনটা দিয়েছেন? আর এখনকার দিনে ফ্রিতে কেউ জিনিস দিলে সে নিশ্চয় ধান্দা ছাড়া দেবে না।’
এখানেই না থেমে সুকান্ত আরও বলেন, ‘মমতা যে পরেন, সেই শাড়ি বাংলায় আর এক পিসও পাওয়া যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজাইন করা শাড়ি পরেন। ওই শাড়ির এক কপি কেউ এনে দিতে পারবেন আমায়? আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ওই শাড়ি বাংলার বাজারে মিলবে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সুকান্ত প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ডিজাইনার কি মমতাকে বিনামূল্যে শাড়ি দেন? আর তা না হলে এই শাড়ি কেনার টাকা কোথা থেকে পান মমতা?
মমতার পোশাক এবং ফোন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পালটা মোদীর দশলাখি স্যুটের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ এই বিষয়ে বলেন, ‘মোদী ১০ লক্ষ টাকার স্যুট কার টাকায় পরেন?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সততার প্রতীক। তাঁকে বাংলার মানুষ তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেছে। আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সুকান্ত মজুমদার সার্টিফিকেট দেবেন?’
সুকান্তর এ ধরনের মন্তব্যর তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা- সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। চন্দ্রিমা এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর ‘দিদি ও দিদি’ ডাকের পর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এখন মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করেছে। ‘ধান্দা’ শব্দের মত অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে । একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই ধরনের মন্তব্য তাদের নারীবিদ্বেষী মনোভাবের পরিচয় দেয়। সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে!”
ড: শশী পাঁজা লেখেন, “নারীবিদ্বেষী মনোভাবের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে ছাপিয়ে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। একজন বিজেপি সাংসদই ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার সময় ‘ধান্দা’ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে হবে!”