অবিলম্বে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাই, এই দাবিকে সামনে রেখে বহু দিন বাদে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন বাংলার মানুষের স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
পশ্চিম বাংলায় রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যসভায় সরব হতে দেখা যায় বাংলার বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। হিংসাকাণ্ডের কথা বলতে বলতে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি সংসদ কক্ষের মধ্যেই কেঁদে ফেলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
‘অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই’, বাংলার হিংসাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সরব বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন বিজেপি সাংসদের বার্তায় উঠে আসে রামপুরহাটকাণ্ড থেকে ঝালদা কাউন্সিলর খুন-সহ ছাত্র নেতা আনিস খুনের প্রসঙ্গও। ততক্ষণে রাজ্যসভায় শুরু হয়েছে তুমুল হট্টোগোল। আর তারই মাঝে বাংলার এই হিংসাকাণ্ডের কথা বলতে বলতে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি কেঁদে ফেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক প্রতিবাদে ততক্ষণে রাজ্যসভায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ডেস্কে বাড়ি পড়ছে। আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি কেঁদেও ফেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি বলেন ‘বাংলায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই।’
একুশের ভোট পরবর্তী হিংসা বাদ দিলেও, বাইশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক খুন হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যায় চূড়ান্ত বিতর্ক হয়েছে। সিট গঠন হয়েছে। কবর থেকে খুড়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত পর্যন্ত হয়েছে। সেখানেও আদতে এসেছে সেই সিবিআই তদন্তের দাবি।
এখানেই শেষ নয়, ঝালদার কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। গোটা ঝালদা শহর জুড়ে পড়েছে পোস্টার। এবার একেবার এই মুহূর্তে শিরোণামে যে খবর রয়েছে, সেই রামপুরহাটকাণ্ডেও রাজ্যপুলিশে ভরসা না রাখতে পেরে শেষ অবধি সিবিআই তদন্তের নির্দেশই দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।