একদিকে যখন রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে বিজেপিকে গো-হারা হারিয়ে ফের একবার বিপুল জয় সেলিব্রেট করছে রাজ্যের তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। ঠিক সেই সময় বাংলা থেকে অনেক দূরে নরেন্দ্র মোদির গড় বারাণসীতে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আবহে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ভালোভাবে নেয়নি সেখানকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আর তাই সেখানে গিয়ে রীতিমতো বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেখানে উপস্থিত একদল বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মী। কিন্তু সেই বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে বিজেপির উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা, ‘এই ভাবে আমায় দমিয়ে রাখা যাবে না।’
এদিন উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারে বারাণসীতে পৌঁছে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার মুখেই এই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে তাঁকে দেখেই কালো পতাকা দেখায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা। এর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীকে বিরক্ত করার উদ্দেশ্যে তাঁকে লক্ষ্য করে বারবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
কিন্তু বিজেপির সেই বিক্ষোভ বা প্ররোচনার সামনে মাথা ঠাণ্ডা রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই রকম এক উত্তেজনার মুহূর্তে তিনি শুধুই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পাল্টা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ছুড়ে দেন বিজেপির বিক্ষোভকারীদের দিকে।
বারাণসীর ঘাটে যখন এই স্লোগান আর পালটা স্লোগানের পর্ব চলছে, ঠিক তখন অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থকরাও চুপ করে বসে না থেকে পালটা ‘মমতা জিন্দাবাদ’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তরপ্রদেশে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লখনউয়ে গিয়ে অখিলেশ যাদব এর হয়ে ভোট প্রচারে সামিল হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানে তিনি অখিলেশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন তিনি। এদিন বারাণসীর ঘটনায় তাই মুখ খোলেন অখিলেশ যাদব। তাঁর বক্তব্য, “দিদি এবং ভাই একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে বলে ভয় পেয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশেও বিজেপির বাংলার মতন একই অবস্থা হতে চলেছে। তাই কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি।”