রামপুরহাট: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে তাঁর পরিবার। পুলিশি পাহারায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে আজই লালনের দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হবে। এরই মধ্যে ময়নাতদন্তের পর লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে পৌঁছোয় পরিবার। এর পরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বুধবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ গ্রহণ করে পরিবার। দেহ নিয়ে সিবিআই ক্যাম্পের সামনে পৌঁছোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসা বাঁধে লালনের পরিবারের। জানা যায়, ‘অভিযুক্ত সিবিআই’ আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবি করে রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী শিবিরের মধ্য়ে প্রবেশ করতে চান তাঁরা।
বাধা পেয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের সামনে ধর্নায় বসে লালনের পরিবার। সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হতে শুরু করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, লালনের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের ডিআইজি ছাড়াও আধিকারিক ও অফিসার মিলিয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, কটূক্তি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তের জন্য আজ ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা সিআইডি-র। যাবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।