বৈতা বাজারে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির! দক্ষিণ ভারতের পাথরে খোদাই করা দুর্গামূর্তির আদলে প্রতিমা

জমজমাট পুজোর আনন্দ। মহানগর থেকে জেলা, সর্বত্রই পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। কোথাও থিম, তো কোথাও সাবেকিয়ানাকে ভর করেই পুজোর আয়োজন। থিমের ভাবনায় শহরের পুজোকে সমানে টক্কর দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে ওড়িশার সীমান্তবর্তী মোহনপুর ব্লকের বৈতা বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব। এ বারে তাদের থিম পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির।

উদ্যোক্তাদের কথায় জানা গেল, এই পুজোর পথচলা শুরু ১৯৮৪-এ। সেসময় অবিভক্ত মেদিনীপুরের এই এলাকায় কোনো সর্বজনীন দুর্গাপুজো হতো না। এমন একটা সময়ে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে শুরু করেছিলেন এই সর্বজনীন পুজো। কুসুমদা, গরুড়া, গোবিন্দপুর, ঝাটিয়া, জড়িসাই, জামুরা, ধৌড়জামুরা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচরোল গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে শুরু করেছিলেন এই পুজো।

এ বারে মন কাড়ছে তাদের থিম অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। থার্মোকল এবং অন্যান্য উপকরণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে থিম। পাশাপাশি, বৈচিত্র এনেছে দক্ষিণ ভারতের পাথরে খোদাই করা দুর্গামূর্তির আদলে তৈরি প্রতিমা। পুজো কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা দেবব্রত দাস জানালেন, প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে এ বারের পুজোয় তাঁদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা।

তবে শুধু দুর্গাপুজোই নয়, সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজে করে থাকে পুজো কমিটি। পুজো কমিটির সম্পাদক লোটন বেরা জানালেন, করোনার সময় দু’বছর পুজো করতে না পারলেও সাধারণ মানুষের পাশে যথাসাধ্য দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া বছরভর রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্যশিবির, চক্ষুপরীক্ষা, ম্যালেরিয়া-জেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা এবং বস্ত্রদান-সহ নানা ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজ করে থাকে পুজো কমিটি।

প্রতিবছরই বৈতা বাজার সর্বজনীন নানা ধরনের থিম করে থাকে বলে জানালেন পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল, অসিত দোলুই, চঞ্চল প্রধান, অশোক মাইতি প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০১৬ সালে মিশরের পিরামিড করে জেলার সেরা পুজোর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিল এই পুজো।

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন