নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেরল সরকার। এ ছাড়াও দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার সব মামলার শুনানি হবে একসঙ্গে।
গত ১১ মার্চ সিএএ কার্যকর করা হয়েছিল। এর ফলে এখন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নির্যাতিত অ-মুসলিম অভিবাসী, যেমন হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করছে সরকার। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন, তাঁরাই যোগ্যতা পূরণ হলে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
কেরল সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেবে না। এর পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। এর পর ১৪ মার্চই কেরল সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। জানা গিয়েছে, এ দিন এই সংক্রান্ত সব ক’টি আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, “রাজ্য ইতিমধ্যেই সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম কোর্টে মূল মামলা দায়ের করেছে। এখন সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে আরও আইনি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্য। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অধীনে নিয়মগুলি অবহিত করেছে। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কেরলে কার্যকর করা হবে না।”
কেরলের আইনমন্ত্রী পি রাজীব জানান, ‘‘সিএএ হল ভারতীয় সংবিধানের প্রাথমিক নীতির বিরোধী। তাই এটাকে সংবিধান-বিরোধী ঘোষণা করার জন্য আমরা আবেদন করছি। আগের আবেদনেও সেই আর্জিই জানানো হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টে আবার আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কথাবার্তা বলছেন।’’