কলকাতা: অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।আর্জি খারিজ করল পাঁচ বিচারপতির এক বৃহত্তর বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের হয়ে অ্যাডভোকেট কিশোর দত্ত সওয়াল করেন। গত ১৮ জুনের সেই নির্দেশের পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না রাজ্যের। নির্দেশ অনুযায়ী, ১৮ তারিখের নির্দেশই বহাল থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়লেও, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা না পড়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত উদ্বেগের বলে মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল । কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি? কেন রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে কোনও অভিযোগ জমা পড়ল না? তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। সঠিক পথে তদন্ত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই মামলায় এখনও কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়নি।বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশই আপাতত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার যোগব্যায়াম’, বার্তা মোদীর
বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এ দিন বলেন, ‘যে ভাবে তদন্ত হয়েছে সেটা সঠিক নয়।’ তদন্ত সম্পর্কে বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় এই রাজ্য স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে কিছু করেন নি। এইরকম সিরিয়াস কেসে কিছুই করেন নি। এত লুকোচুরি কেন? এর মানে আপনারা অভিযোগকারীদের বক্তব্য শুনছেন না।’কিশোর জানান, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছিলাম, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সোমবার রাজ্য আদালতে একটি তালিকা পেশ করে। তাতে জানানো হয়, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে তারা, কত জন এখনও উপদ্রুত এলাকায় ফিরতে পারেননি। কিন্তু সেই তালিকা হাতে পেয়ে বিচারপতি রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বলেন, শেষ যে নির্দেশ ছিল সেটাই বহাল থাকবে।