রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমা বিবির মৃত্যু হল সোমবার। তিনি বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ অবস্থায় এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর শরীরের ৬০-৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। রবিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। এদিন নাজমা বিবির মৃত্যুর পর বগটুই কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯ জন।
জানা যাচ্ছে, ৬৫ শতাংশ বার্ন ইনজুরি নিয়ে ঘটনার পরই রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নাজমা বিবি। কিন্তু চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও সোমবার সকালে মৃত্যু হল তাঁর। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহতদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি নাজমা বিবিকে হেলিকপ্টারে কলকাতা উড়িয়ে এনে চিকিৎসার চিন্তাভাবনা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। চিকিৎসকেরা রামপুরহাটের হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, রবিবারের পর সোমবারও আনারুল-সহ কয়েকজন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিবাই গোয়েন্দারা। গতকাল টানা ৮ ঘণ্টা জেরা হয়েছিল। আজও জেরা চলছে। তবে এদিন মিহিলাল শেখকে সিবিআই তাদের অস্থায়ী অফিসে নিয়ে যায়। বগটুইকাণ্ডে মিহিলালের মা, স্ত্রী, কন্যা, জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এই মামলায় তিনিই মূল প্রত্যক্ষদর্শী। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারই ফোনে মিহিলালকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন সাসপেন্ডেড আইসি ও এসডিপিও-কেও তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে তদন্ত জোর বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।