কলকাতা: বুধবারে ধর্মতলায় সভা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সেই সভার সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সিবিআই অভিযান। তৃণমূলের নেতা, জনপ্রতিনিধি বা কোনও না কোনও নেতার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিতদের বাড়িতে চলছে সিবিআই তল্লাশি। যা নিয়ে শাসক দলের দাবি, ধর্মতলায় সভার আয়োজন করে মুখ পুড়েছে, তাই সিবিআইয়ের এই তৎপরতা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে। অদিতি মুন্সীর স্বামী বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী, পাটুলিতে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘বুধবার বিজেপির সভায় লোক হয়নি। অমিত শাহের বক্তৃতাও ছিল সুপার ফ্লপ। সেই দৈন্যদশা ঢাকতে সকাল থেকে সিবিআইকে নামিয়ে দিয়েছে!’’
এ দিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়েই চলছে তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে বিজেপির সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস হিসেবে শুধু ধর্মতলা নয়, গোটা মধ্য কলকাতা জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে যায়। বিজেপি-ও নিজেদের এই সমাবেশকে ‘মেগা শো’ হিসাবে অভিহিত করে বিপুল জমায়েতের টার্গেট করেছিল। ভাড়া করা হয়েছিল আটটি ট্রেন। অনেক বাস ও ম্যাটাডরও ভাড়া করা হয়েছিল কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে দলীয় কর্মীদের ধর্মতলায় আনার জন্য। তবে, মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, এ দিন কার্যত ফাঁকা মাঠে একে একে ভাষণ দিলেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডাহা ফ্লপ বিজেপি। পরিস্থিতি দেখে না কি ভাষণ শেষ করে মঞ্চ ছাড়েন হতাশ অমিত শাহ।