সাতসকালেই লালু ঘনিষ্ঠ একাধিক আরজেডি নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা।
বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব। তার আগে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতাদের বাড়িতে সিবিআই হানা। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সময় রেলের প্রকল্পে জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়া সাধারণ মানুষকে। তাতে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ নিয়েই বুধবার পটনা-সহ একাধিক জায়গায় বেছে বেছে লালুর দলের নেতাদের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। দিন সকালেই বিহারের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে দুইজন আরজেডি নেতাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন আবার লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী সুনীল সিং।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পটনা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আরজেডি নেতা সুনীল সিং, সুবোধ রায়, আশফাক করিম ও ফইয়াজ় আহমেদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে সকাল থেকে। এদিকে, সিবিআই তল্লাশি শুরু হতেই বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর কোনও অর্থ নেই। ওনারা ভাবছেন এতে ভয় পেয়ে বিধায়করা ওনাদের সমর্থন করবেন”। আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, “এটাকে ইডি বা সিবিআই বা আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান বলা ভুল। এই তল্লাশি অভিযান বিজেপি চালাচ্ছে। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপি দ্বারা পরিচালিত হয়। বিজেপির লেখা স্ক্রিপ্টেই পরিচালিত হয়। আজ আস্থাভোট রয়েছে, আর কী হচ্ছে? এতে এখন আর আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।”
দু’সপ্তাহ আগেই বিজেপি-র সঙ্গে জোট ছিন্ন করেন নীতীশ কুমার। সংযুক্ত জনতা দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে লালুপুত্র তেজস্বীর সঙ্গে হাত মেলান নতুন করে। কংগ্রেস-সহ সাতটি দলের সমর্থনে বিহারে ফের ‘মহাজোট সরকার’ গঠন করেন নীতীশ। বুধবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁদের। তার আগেই সিবিআই হানার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ নীতীশ-তেজস্বীদের।
আরও পড়ুন :
অনূ্ব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
নজর শুভেন্দুর গড়ে, লোকসভায় লক্ষ্য রেখে পঞ্চায়েত ভোট থেকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ অভিষেকের
ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সুবল ভৌমিককে সরিয়ে দিল তৃণমূল