ডেস্ক: অজানা জ্বরে কাহিল শিশুরা। জলপাইগুড়িতে একজন মারা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকে প্রথম সংক্রমণের খবর এলেও ক্রমশ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ছড়াতে শুরু করেছে সেই জ্বর। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিলিগুড়িতে। কেন এই অসুস্থতা? কী ভাবে বা চিকিৎসা হবে? বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্যভবন।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ১৩০ জন শিশু। তাদের মধ্যেই একজন মারা যান এদিন সকালে। কীভাবে মৃত্যু? তা জানার চেষ্টা চলছে। শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। শিলিগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কমপক্ষে ৭০ জন শিশুর। ভিড় উপচে পড়ছে হাসপাতালে আউটডোরেও। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে চিকিৎসা হবে তার একটা রূপরেখা তৈরি করে দেবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি। দ্রুত তৈরি করা হবে গাইডলাইনও।
কমিটিতে থাকছেন এসএসকেএম হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ। কলকাতা মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ মিহির সরকার, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক ভাস্বতী ব্যনার্জী, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ তথা ভাইরোলজিস্ট বিভূতি সাহা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ মৌসুমী নন্দী।
আরও পড়ুন: অজানা জ্বরে ভুগছে উত্তরবঙ্গের শিশুরা, মৃত ৮ মাসের শিশু
প্রথমবার এই জ্বর ধরা পড়ার পর প্রায় ১২ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও জ্বরের কারণ সামনে আসেনি। জলপাইগুড়ি থেকে সংক্রমণ ছড়াতে ছড়াতে দুই দিনাজপুরে এসে পৌঁছেছে। জানা যাচ্ছে, সাধারণ জ্বর নয়, প্লেটলেট ক্রমশ কমতে শুরু করছে শিশুদের। সেই কারণেই ক্রমশ নেতিয়ে পছে তারা। ডেঙ্গি, এমনকী করোনা টেস্টে রিপোর্টও নেগেটিভ আসছে। তাহলে? রোগের উৎস সন্ধানে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই ইস্যুতে বুধবার মুখ্য সচিব বৈঠক ডেকেছেন জরুরি ভিত্তিতে। সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হবে সেই বৈঠকে। ১০-১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা যায়নি। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।