মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতিদের নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এই অভিযোগ উঠে আসার পর, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও সিআইডি বিষয়টির তদন্তে নেমেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের ১৩ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি, হাসপাতালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী ও স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে এসএসকেএম-এ ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে কিছু গাফিলতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, “আমরা কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করব না। যাঁরা এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এছাড়া, স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য দফতর আরও বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে সিআইডি-ও ঘটনাটি তদন্ত করবে।
রাজ্যের নির্দেশ স্পষ্ট, গাফিলতি প্রমাণিত হলে কেউ রেহাই পাবে না। চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়নে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।