দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর, প্রশাসনকে ফোনে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

একদিকে টানা বর্ষণ, অন্যদিকে ডিভিসির জলছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও ডিভিসির দাবি, জলছাড়ার আগে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ডিভিসির পলি তোলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগেই জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ফোনে জেলাগুলির পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন।

নবান্ন সূত্রের খবর, শুক্রবার চলতি বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন থেকে একাধিক জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেন। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরের দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের মানস ভুঁইয়া, হুগলির আরামবাগ, গোঘাট অঞ্চলের তত্ত্বাবধানে ফিরহাদ হাকিম এবং বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মলয় ঘটককে।

ইতিমধ্যেই জেলার গুদামঘরে ত্রিপল, পোশাক, ওষুধ, শুকনো খাবার সহ নানা ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্ষা ঢোকার আগেই এসব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির প্রকোপ সামান্য কমলেও সোমবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আরও বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

Related posts

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?