রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে রাতের অন্ধকারে ৮ জনকে নৃশংশভাবে পুড়িয়ে মারা হয়। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ ছিল ঘটনাস্থলের খুব কাছে থাকা সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার ঠিক দু’দিন পর বগটুই গ্রামে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামে গিয়ে অত্যাচারিত ও নিহত গ্রামবাসীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে যাবতীয় আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেন তিনি।
এরপরই ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা পুলিশ আধিকারিকদের কড়া শাস্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আগুন লাগানোর ঘটনায় যার দিকে মূল অভিযোগের তির ছিল সেই স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুলকেও আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, আনারুলকে দ্রুত গ্রেফতার করতে। পাশাপাশি নিজেই পুলিশকে কার্যত কাঠগড়ায় তুললেন এদিন। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘এস়ডিপিও, আইসি, ডিআইজি – পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগায়নি যারা, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে’।
এদিন বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন রাতেই একটা খুন হয়েছিল গ্রামে। সেটাও দুঃখজনক, কিন্তু তার পরে যেটা হয়েছে সেটা আরও নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ যদি সক্রিয় হতো তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যারা পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগায়নি, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পুলিশের উচিত ছিল আরও সজাগ থাকা। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আইসি-এসডিপিও পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগায়নি। আর এর জন্যই এমন ঘটনা ঘটে গেল। আমি ভাবতেই পারছি না, এত ভয়াবহ ঘটনা’।
বগটুই গ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী সোজা যান রামপুরহাট হাসপাতালে। যেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে কথা বলেন হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে। পরে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং সাহায্যের আশ্বাস দেন।