দিঘা ও শঙ্করপুরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া নিয়ে হোটেলগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পোর্টালে। অভিযোগ, পর্যটকের ভিড় বাড়লেই অনেক হোটেল ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। এক হাজার টাকার ঘরের জন্য নেওয়া হচ্ছে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যটকদের হাতে কোনও সরকারি বিলও দেওয়া হচ্ছে না, শুধু কাগজের চিরকুট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে, এমনকি বাতিল হতে পারে হোটেলের লাইসেন্সও।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরে দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। গত দেড় মাসে মন্দির দর্শনে এসেছেন ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ। সামনে রথযাত্রা, ফলে আরও ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন চাইছে, এই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে যেন কেউ পর্যটকদের ঠকাতে না পারে।
হোটেল মালিকদের একাংশের দাবি, টোটো-অটো চালকদের কমিশনের জন্যই মূলত এই বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনা ঘটছে। তবে ওল্ড দিঘা হোটেল ওনার্স ও হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের স্বীকারোক্তি, কিছু হোটেল সত্যিই বাড়তি ভাড়া নিয়েছে।
পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, হোটেল কাউন্টারে ঘরের সংখ্যা ও ভাড়ার তালিকা ঝোলানো বাধ্যতামূলক। অথচ অধিকাংশ হোটেল এই নিয়ম মানছে না। পর্যটকদের ডিটেলস ও ভাড়ার তথ্য পোর্টালে আপলোড করার নিয়ম থাকলেও তা অনুসরণ করছে হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল।
পর্যটকদের যাতে আর হয়রানির শিকার না হতে হয়, তার জন্য পুলিশ-প্রশাসন নজরদারি বাড়াচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।