‘এক দেশ এক ভোট’ বিল: সংসদের যৌথ কমিটিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

নয়াদিল্লি: ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়ার পরিমার্জনের জন্য গঠিত সংসদের যৌথ কমিটির সদস্য হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের আরও তিন সদস্য—লোকসভার সাংসদ মণীশ তিওয়ারি ও সুখদেও ভগত এবং রাজ্যসভার সাংসদ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা—এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন। তবে এই বিল ঘিরে বিরোধী শিবিরের তীব্র আপত্তি দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ একাধিক বিরোধী দল বিলটি নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগে ডিভিশনের দাবি তোলে।

সংসদীয় বিধি অনুযায়ী বিতর্কের আগে বিল নিয়ে ভোটাভুটি হয়। প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং পরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সংসদ ভবনে এই প্রথমবার ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হলো। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ২৬৯ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ১৯৮ জন সাংসদ ভোট দেন। তবে বিলটি পাশ করাতে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। যার জন্য লোকসভায় ৩০৭ এবং রাজ্যসভায় ১৫৮ সাংসদের সমর্থন দরকার।

বর্তমানে মোদী সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে ধীরে এগোতে চাইছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিলটির খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

বিরোধীরা বিলটিকে সংবিধানের ওপর আঘাত এবং দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছে। কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন