প্রয়োজন মতো টিকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আপাতত কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কোভিশিল্ডের মজুতও তলানিতে!
ডেস্ক: চাহিদা মতো মিলছে না টিকা। সংকটে পড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে কলকাতা পুরসভা!
পুরসভা সূত্রে খবর, প্রয়োজন মতো কোভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে টিকাকরণে ব্যাঘাত ঘটেছে। বাধ্য হয়েছে কোভ্য়াকসিনের টিকাকরণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও ১০৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১৭টি মেগাসেন্টার থেকে কোভিশিল্ডের টিকাকরণ যথারীতি চালু থাকবে।
এ ব্যাপারে রবিবার রাতে এই সংক্রান্ত একটি ঘোষণা করেন পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায়চৌধুরী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাকসিন না পাঠানোয় কলকাতার ৩৯টি কেন্দ্র থেকে এই টিকা দেওয়ার কাজ অনির্দিষ্টকালেন জন্য বন্ধ থাকছে। পর্যাপ্ত টিকা হাতে মিললে ফের তা শুরু হবে।
অন্য দিকে, কোভিশিল্ড দেওয়ার কাজ চালু থাকলেও তার মজুতও তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে জানা গিয়েছে। পুরসভার হাতে কোভিশিল্ডের যে পরিমাণ ডোজ রয়েছে, তাতে খুব বড়োজোর আর এক দিন টিকাকরণ চলতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার রাতের মধ্যেই যদি কেন্দ্র নতুন করে কোভিশিল্ড না পাঠায়, মঙ্গলবার থেকে সেই টিকা দেওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি পরামর্শে প্রথম ডোজ নেওয়ার নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে কোভ্যাকসিন টিকাকরণ বন্ধ হওয়ায় বহু মানুষই যে বিপাকে পড়বেন তা বলাই বাহুল্য। কারণ, এ দিন যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা আগামী নির্ধারিত ছিল, তাঁদের হতাশ হয়েই অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর রইল না!
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টা ধরে ভারী বৃষ্টিপাত
উল্লেখ্য, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি দ্রুত হারে এগিয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার জোগান নিয়ে একাধিক বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা যায়, আওতাধীন এলাকায় ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে টিকাকরণে আরও জোর দিতে চাইছে প্রশাসন। সেই উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে টিকার আকাল!