পাঁচদিনে সংক্রমণ ৪৩৯ থেকে বেড়ে ৩৪৫১, চূড়ান্ত উদ্বেগে বাংলা

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্য়েই প্রায় দশ গুন বেড়ে গেল কোভিড আক্রান্তের সংখ্য়া। সপ্তাহের শুরুতে বিগত সোমবার সংখ্য়াটা যেখানে ছিল মাত্র ৪৩৯, সপ্তাহের শেষের দিকে এসে শুক্রবার সেই সংখ্য়াটাই বেড়ে হয়ে গেল ৩ হাজার ৪৫১ জন। অর্থাৎ ঠিক কত দ্রুত ছড়াচ্ছে কোভিড সংক্রমণ, এই পরিসংখ্য়ান সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কিন্তু এখনও উৎসবের এই মরশুমে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ভাবতে নারাজ সাধারণ মানুষ। আর ঠিক এখানেই আশঙ্কার মেঘ জমছে রাজ্য় প্রশাসনের কপালে।

একদিকে কোভিডের ডেল্টা প্রজাতি এবং অপরদিকে ওমিক্রনের আক্রমন। দুইয়ের যৌথ হানায় এক ধাক্কায় মাত্র পাঁচ দিনেই রাজ্য়ের করোনা গ্রাফ প্রায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। যে পরিসংখ্য়ান দেখে চোখ প্রায় কপালে উঠেছে রাজ্য় প্রশাসনের। রাজ্য়ের পাশাপাশি কলকাতার ক্ষেত্রেও এই গ্রাফ প্রায় একই রকম। কলকাতায় যেখানে গত সোমাবার এই সংখ্য়া ছিল মাত্রই ২০৪, সেখানেই দেখা যাচ্ছে শুক্রবার সেই জায়গায় আক্রান্তের সংখ্য়া হয়ে গিয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ জন।

কলকাতার পাশাপাশি রাজ্য়ের অন্য়ান্য় জেলাগুলির পরিসংখ্য়ানও একই রকম উদ্বেগ জনক। উত্তর ২৪পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা, কিংবা হাওড়া, হুগলি প্রায় সব জেলাতেই আক্রান্তের হার একই রকম। এই ক্ষেত্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্য়াও পাল্লা দিচ্ছে বলাই যায়। কারণ স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিনেই দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়াও। যে কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও।

তবে এই আতঙ্কের মধ্য়েও ভাল খবর একটাই আর সেটা হল, আক্রান্তের সংখ্য়া লাফিয়ে বাড়লেও এখনও বাড়েনি আক্রান্ত ব্য়াক্তিদের মৃত্য়ুর সংখ্য়া। বরং রাজ্য়ে কিছুটা হলেও কমেছে দৈনিক মৃত্য়ুর হার। শুক্রবার সারা রাজ্য় মিলিয়ে কোভিডে মৃত্য়ুর সংখ্য়া সাত জন। যার মধ্য়ে কলকাতা মৃত্য়ুর সংখ্য়া চার। এছাড়াও সংক্রমনমুক্ত হওয়ার সংখ্য়া ১ হাজার ৫১০ জন।

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন