ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। আবহবিদদের অনুমান, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কাঁপছে ওড়িশা। বৃহস্পতিবার এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলছে। তার ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমান পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঝড়টি ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনো অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। তবে সঠিকভাবে কোথায় আঘাত করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়টি অতীতের আমফানের মতো তীব্র না হলেও যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া এবং অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাগুলিতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এনডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় জরুরি পরিষেবাগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ তারিখ রাত থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।