বর্তমানে বিনোদন জগতের তারকারা নিয়মিতই ডিপফেকের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তাঁদের ছবি-ভিডিও বিকৃত করে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার এই অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিলেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। দিল্লি হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।
রায়ের মূল বক্তব্য:
- অভিনেত্রীর নাম, ছবি, সংক্ষিপ্তরূপ ‘এআরবি’ বা ভিডিও কোনও সংস্থা ভবিষ্যতে বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করতে পারবে না।
- রায় কার্যকর হবে সব ধরনের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিপফেক, ফেস মর্ফিং-এর মতো আধুনিক টুল সহ।
- বিচারপতি তেজস কারিয়া জানান, এআই-এর অপব্যবহারে ঐশ্বর্যর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এটি মানবাধিকারের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
পটভূমি:
অভিযোগ উঠেছিল, ঐশ্বর্যর নাম-ছবি ব্যবহার করে কফি মগ, টি-শার্ট তৈরি করা হচ্ছিল। পাশাপাশি এআই-এর সাহায্যে তৈরি অন্তরঙ্গ ছবি নেটপাড়ায় ভাইরাল করা হচ্ছিল। ঐশ্বর্য আদালতের দ্বারস্থ হন এবং জানান, এতে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, তাঁদের পরিবার ও ব্যক্তিগত মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ:
- এআই প্রযুক্তি যদি অপব্যবহার হয়, তবে তা ব্যক্তি অধিকারের লঙ্ঘন।
- বিনা অনুমতিতে তারকামুখ ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালালে ক্রেতারা বিভ্রান্ত হতে পারেন।
- এ ধরনের কাজকে আদালত সরাসরি “সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করার চেষ্টা” বলে আখ্যা দিয়েছে।
দিল্লি হাই কোর্টের এই রায় শুধুমাত্র ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে তারকাদের ডিজিটাল পরিচয় রক্ষা ও ডিপফেক নিয়ন্ত্রণে একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।