কলকাতা: মানহানি সম্পর্কিত যে আইন আছে তাকে লঙ্ঘন না করে রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার তৃণমূল নেতা। রাজ্যপালের করা মানহানির মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয় রাজ্যপালের তরফে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষনে বলা হয়, “একজন মানুষের মর্যাদা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং পবিত্র বিষয়। সেটা রক্ষা করার জন্য আইনে সংস্থান রয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। যদিও এই বাকস্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সত্যি জানার অধিকার সবার আছে। তবে তবে এই সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল থাকতে হয়।”
এর আগে সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্য়মন্ত্রীকে। এনিয়ে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আপাতত মামলা ফেরত গেল সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে।