ডেস্ক: বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধই এই বার্তা দিয়েই আজ যন্তর মন্তরে গিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদরা। এ দিন সকালে যন্তর মন্তরে পৌঁছে যান তিন সাংসদ দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যন্তর মন্তরে যাবেন ১৪টি বিরোধী দলের নেতারাও।
দোলা সেন বলেন, “সেপ্টেম্বরে সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দিল্লি আসবেন। কৃষক আন্দোলন নিয়ে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধীদের বৈঠক ডাকতে পারেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গাজিপুর ও অন্যান্য সীমানাতেও যেতে পারেন। এই বক্তব্যই কৃষক নেতাদের জানিয়েছি। মমতা দি কৃষক নেতাদের জন্য উত্তরীয় পাঠিয়েছেন।” তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তৃণমূল যে বাকি দলগুলির সঙ্গেই রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন৷
আরও পড়ুন : বিধানসভার উপনির্বাচনের দাবিতে আজ ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল
দোলা সেন আরও জানান, তৃণমূল সংসদ অচল করে রাখতে চায় না৷ কিন্তু পেগাসাস কাণ্ড, সংশোধিত কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় তারা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন সংসদ ভবনে এসেও অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন দোলা সেন৷
কয়েকদিন আগেই দিল্লি এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় তাঁরও যন্তর মন্তরে গিয়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর৷ কিন্তু করোনা বিধি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি৷ যদিও শুরু থেকেই কৃষক আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। কৃষি আইন প্রত্যাহরের দাবিতে ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই দাবিতে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কৃষক নেতারা।