ডেস্ক: ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁকে দলে ফেরানো নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কিন্তু মোটেই কমছে না। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি বেঁচে থাকতে ভোটের আগে বেইমানি করা কাউকে হাওড়ায় ঢুকতে দেবেন না।
প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূনবাবু রবিবার বলেন, ‘বেঁচে থাকতে ভোটের আগে কোনও বেইমানকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না।’হাওড়া সদরে এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্টানে নাম না করে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে ফিরলেও হাওয়ায় ঢুকতে দেব না। সাফ হুঁশিয়ারি তৃণমূল সাংসদের। বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ছিলেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে রাজীবের উদ্দেশ্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন তাই উনি দলে ফিরেছেন। কিন্তু তিনি তা মানতে পারেছেন না। পরক্ষো ভাবে জানান, দলে ফিরলেও ডোমজুড় ও হাওড়ার মানুষ রাজীবকে ঢুকতে দেবেন না।
এ দিন ভাষণ দিতে গিয়ে রাজীবের নাম না করে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু লোক আছে যাঁরা ঠিক নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সব লোক হাওড়ায় ঢুকতে পারবে না। হাওড়ায় ঢুকতে দেব না। যত বড়ই মাতব্বর হও। ভেবেছিল দিদি হেরে যাবে। তাই বাড়ি চলে গেল, প্লেনে উড়ে গেল। আবার হেরে গিয়ে ফিরে এসে দিদির ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো। কোনও কারণেই আমি মানতে পারব না। যদি দরকার হয়, দল যদি বলে দল ছেড়ে চলে যান, আমি পদত্যাগ করে মমতাদির পায়ের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে থাকব।”
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটের মুখে অনেকে দলের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন ও বিশ্রীভাবে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রলোভন উপেক্ষা করে দলে থেকে গিয়েছিলেন তাদের একাংশের একটা ক্ষোভ বা অভিমান রয়েছে।