ডুয়ার্সের জঙ্গলে ফের পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে। তিনমাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে খুলছে জলদাপাড়া ও গোরুমারার জঙ্গল। হাতি সাফারির জন্য পর্যটকদের সুবিধায় থাকছে অনলাইন ও অফলাইন— দুই ধরনের বুকিংয়ের সুযোগ। বনদপ্তর সূত্রে খবর, পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ওয়াচ টাওয়ার রং করা হয়েছে, ভিউ পয়েন্টের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে এবং হাতি-গন্ডারের প্রিয় ঘাস লাগানো হয়েছে। ফলে পর্যটকরা এবার ওয়াচ টাওয়ার থেকেই বন্যপ্রাণী দর্শনের সুযোগ পাবেন বলে আশা করছে বনকর্তারা।
ভালো খবর হলো, সাফারির খরচ বাড়ছে না। তবে সাফারিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিলাপাতায় বানিয়া নদীর তীরে সোমবার জিপসি মালিকরা মহাকালের পুজো দিয়েছেন।
জলদাপাড়া ও গোরুমারা মিলিয়ে আপাতত ১১টি কুনকি হাতি রাখা হয়েছে সাফারির জন্য। এর মধ্যে জলদাপাড়ায় সাতটি এবং গোরুমারায় চারটি হাতি ব্যবহার হবে। পুজোর সময়ে পর্যটকের চাপ বাড়লে আরও দুটি হাতি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি।
যদিও বক্সায় হাতি সাফারি এবারও চালু হচ্ছে না। সেখানে বর্তমানে দুটি কুনকির প্রশিক্ষণ চলছে, যা শীতের মরশুমে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বক্সা দুর্গে ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছানোর বিষয়টিও এখনও আলোচনায় রয়েছে।
গোরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানিয়েছেন, অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন হাতি সাফারির সুযোগ থাকছে। আপাতত একটি হাতি রাখা হয়েছে অফলাইন বুকিংয়ের জন্য। আগে আসলে আগে পাওয়া ভিত্তিতে ধূপঝোড়া থেকে রাইড উপভোগ করা যাবে। অনলাইনে বুকিং করা পর্যটকদের জন্যও হাতি সাফারি শুরু হবে ধূপঝোড়া থেকে।
জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝা জানিয়েছেন, জলদাপাড়ায় পাঁচটি কার সাফারির রুট পরিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি চিলাপাতা ও কোদালবস্তিতে একটি করে, বক্সার রাজাভাতখাওয়ায় দুটি ও জয়ন্তীতে তিনটি রুটে পর্যটকদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পর্যটক মহলে অবশ্য কার সাফারির অফলাইন বুকিং নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের দাবি, অনলাইনে বুকিং চালু থাকলে কাউন্টারে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়ানো যেত।