কলকাতা: মহাষ্টমীর রাত থেকেই কয়েক পশলা বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। মাঝেমধ্যেই আকাশের খামখেয়ালিপনা এবং হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে দোলাচলে কাটিয়েছেন মানুষ। হালকা-মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও। তবে নবমীর শুরুতেই আনন্দ উপভোগে মেতেছে রাজ্য।
মহানবমী, ১৭ আশ্বিন, ইংরাজি ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার
মহানবমী দিবা ১। ৩৪ পর্যন্ত। পূর্বাহ্ণ মধ্যে (কিন্তু বারবেলানুরোধে দিবা ৭।১ মধ্যে পুনঃ দিবা ৮।৩০ গতে পূর্বাহ্ণ মধ্যে) শ্রীশ্রীশারদীয়া দুর্গাদেবীর কেবল মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমীবিহিত পূজা প্রশস্তা এবং দেবীর নবরাত্রিক ব্রত সমাপ্ত।
রাত পোহালেই মনখারাপের প্রহর শুরু। উমাকে বিদায় জানানোর বেলা। স্বভাবতই, হাতে যেটুকু সময় রয়েছে, পুজোর আনন্দে শামিল হতে কলকাতার রাজপথে ভিড় জমানোর শুরু। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমছে ঠাকুর দেখার। জেলাগুলোতেও একই ছবি।
মহানবমীর গুরুত্ব
মহানবমীর দিন নিয়ম মেনে দেবীর পুজো করলে সাফল্য, শক্তি ও সম্পদ আসে। সিদ্ধিদাত্রী দেবী মহাবিদ্যার আটটি সিদ্ধি দান করেন। সেইকারণে এ দিন সমস্ত ভক্তরা আন্তরিক চিত্তে তাঁর পূজা করেন। হিন্দুদের বিশ্বাস যে, সমস্ত দেব-দেবীরাও দেবী সিদ্ধিদাত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধি লাভ করেছেন। কথিত আছে যে, নিয়মানুযায়ী দুর্গা পূজা করলে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ হয়। নবমীর সন্ধ্যেবেলায় দেবীর মহা আরতি, বলিদান করা হয়।
মন মানতে না চাইলেও এটাই নিয়ম, বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোয় ইতি পড়বে দিন ফুরোলেই। দশমীতে দেবী বিসর্জনের সঙ্গে বেজে উঠবে বিষাদের সুর। তার আগে নবমী তো ভরপুর আনন্দের দিন! তাই ভ্যাপসা গরম, অথবা কোথাও বৃষ্টি আর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সামলে নিয়ে আপাতত ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়বেন আট থেকে আশি–সকলেই।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে জমজমাট অষ্টমী, তিল ধারণের জায়গা নেই মণ্ডপে