এসএসসির ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিলের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক অবস্থানের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী যোগ্য ও বঞ্চিতদের পাশে থাকব আমরা। টেন্টেড (অযোগ্য) ও আনটেন্টেড (যোগ্য) – এই বিভাজন এসএসসির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হয়েছে। আদালত হয়তো তাতে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারেনি, তবে প্রধান বিচারপতির রায়ের ভিত্তিতে এখন যোগ্য-অযোগ্য চিহ্নিতকরণ স্পষ্ট হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যাঁরা যোগ্য এবং বঞ্চিত, তাঁদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। আমরা সেই আবেদন জানাচ্ছি।” রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এসএসসি। শিক্ষা দপ্তরের পরামর্শ চাওয়া হলে বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
চাকরিহারাদের মধ্যে ‘১৭ হাজার জন স্কুলে যাচ্ছেন না’— এই তথ্যকেও ভুল বলে উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই। তবে তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন কিনা, তা আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করবে। এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে আইনি ব্যাখ্যা চাওয়ার পরিকল্পনা করছে।”
সবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা, “মুখ্যমন্ত্রী যে মানবিক বার্তা দিয়েছেন, তার ওপর শিক্ষকরা ভরসা রাখুন।”