নিউ গড়িয়া কোঅপারেটিভের এক বহুতলে খুন হলেন ৭৯ বছরের বৃদ্ধা বিজয়া দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চসায়র থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির আয়া এবং তাঁর এক পুরুষ সঙ্গীকে। খুনের রাতে ওই সঙ্গীকেই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন মহিলা—তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
বিজয়া দেবীর ছেলে কর্মসূত্রে ভিন্রাজ্যে, মেয়ে থাকেন বিদেশে। ফলে স্বামী-স্ত্রী মিলে থাকতেন কুলু ভিলার ফ্ল্যাটে। শুক্রবার সকালে পরিচারিকা কলিং বেল টিপে বারবার চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। প্রতিবেশীদের জানানোর পর পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে দম্পতিকে। বৃদ্ধা বিজয়া দাসকে তখন মৃত অবস্থায় সিঁড়িতে পাওয়া যায়, স্বামী পিকে দাসকে পাওয়া যায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট—শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। মাথায় আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। তদন্তকারীদের মতে, কাপড় জাতীয় কিছু মুখে চাপা দেওয়া হয়েছিল। দেহ উদ্ধারের অন্তত এক দিন আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে আরও একটি তথ্য। বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তারগুলো কেটে দেওয়া ছিল। ফলে পরিকল্পনা করেই খুন ও লুটের ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের।
আয়া মাত্র পাঁচ দিন আগে কাজ শুরু করেছিলেন ওই দম্পতির বাড়িতে। তিনি দাবি করেছিলেন, দরজা না খোলায় তিনিই প্রতিবেশীদের খবর দেন। তবে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের রাতে পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে আসেন তিনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, টাকা ও গয়নার জন্যই এই খুন।
ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ইতিমধ্যেই নেমেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।