ভোটার তালিকায় ‘এপিক নম্বর’ নিয়ে ত্রুটির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন পাসপোর্ট বা আধার কার্ডের মতো ভোটার কার্ডের (এপিক) ‘ইউনিক’ নম্বর থাকবে না। এই প্রেক্ষিতেই আগামী মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন আধার ও এপিক সংযুক্তিকরণ নিয়ে বৈঠক ডাকল।
নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের আহ্বানে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, আধার কমিশনের সিইও, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব এবং কেন্দ্রীয় আইনসচিব। পাশাপাশি, সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও কমিশন মতামত চেয়েছে, যা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কমিশন সংযুক্তিকরণ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
‘ভূতুড়ে ভোটার’ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সরব হন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভায় তিনি অভিযোগ তোলেন, এক এপিক নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। পরে তৃণমূল কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়ে প্রশ্ন তোলে, এতদিন বিষয়টি কেন চাপা রাখা হয়েছিল। কংগ্রেস ও এনসিপির মতো দলও এই অভিযোগকে সমর্থন করেছে।
মমতার অভিযোগের পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয় কমিশন। এক বিবৃতিতে তারা স্বীকার করে, একই এপিক নম্বরে একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, যা নির্বাচনী বিধির লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির নির্বাচন সদন এপিক ও আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।