বিহার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন ভোটারের ইনিউমারেশন ফর্ম তাঁর আত্মীয়ও পূরণ করে জমা দিতে পারবেন। অর্থাৎ, পরিবারের কোনও সদস্য যদি বাইরে থাকেন, তাঁর ফর্ম পরিবারের অন্য সাবালক সদস্য পূরণ করে জমা দিতে পারবেন বিএলও-র (Booth Level Officer) কাছে।
নতুন নিয়মে যা থাকছে:
- ইনিউমারেশন ফর্ম জমা দিতে পারবেন ভোটারের আত্মীয়। তবে সম্পর্ক উল্লেখ করে সই করতে হবে।
- ফর্মে নির্দিষ্ট স্থানে সই বা আঙুলের ছাপ দেওয়ার জায়গা থাকবে।
- ভোটার চাইলে অনলাইনেও ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
- এমনকী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকা আত্মীয়ের সঙ্গে নিজের লিংক ইলেকশন কমিশনের পোর্টালে যুক্ত করা যাবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি কেউ ফর্ম পূরণ না করেও জমা করে দেন, তবুও তাঁর নাম ড্রাফট ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পরে সংশ্লিষ্ট ইআরও (Electoral Registration Officer) ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করবেন।
বিহারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা
 কমিশন সূত্রের খবর, বিহারের এসআইআর প্রক্রিয়ায় সমস্যার অভিজ্ঞতা থেকেই বাংলায় প্রক্রিয়াটি অনেক সরলীকৃত করা হয়েছে। এবার থেকে বিএলওদের উপরই মূল দায়িত্ব পড়ছে ফর্ম সংগ্রহের। তাঁরা বারবার ভোটারদের বাড়িতে যাবেন, প্রয়োজনে ফোনেও যোগাযোগ করবেন।
খসড়া ইনিউমারেশন ফর্মে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন:
- ভোটারের বাবা বা মায়ের এপিক নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, থাকলে উল্লেখ করতে হবে।
- যদি আগের এসআইআরে (২০০২) ভোটারের নাম না থাকে, তবে তাঁর আত্মীয়র সঙ্গে লিংকেজ করা যাবে।
- আত্মীয় বলতে শুধুমাত্র বাবা-মা নয়, যে কোনও নিকট আত্মীয়ের নামও গ্রহণযোগ্য।
কমিশনের এই নতুন নির্দেশে সাধারণ ভোটারদের জন্য পুরো প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়ে গেল বলে মনে করছে প্রশাসন। সচেতন ভোটারদের জন্য এবার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন কর্মকর্তারা।