উৎসবের রেশে রাজ্যে শুরু ভোট প্রস্তুতি! বাংলায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম, নজরে পূর্ব মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া

বাংলায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ দন

র্গাপুজোর উৎসবের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোট প্রস্তুতি। বুধবার থেকে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক বৈঠকে বসছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন চার সদস্যের কেন্দ্রীয় টিম, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী।

দু’দিন ধরে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক বৈঠক হবে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে শুরু হয়েছে মূল বৈঠক। এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন রাজ্যের সব জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, ওসি (ইলেকশন)-রা। তবে উত্তরবঙ্গের খারাপ পরিস্থিতির কারণে সেখানকার আধিকারিকরা আপাতত বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না।

জানা গিয়েছে, SIR প্রক্রিয়ার গতি ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এই বিশেষ টিম রাজ্যে এসেছে। বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলা-তে আলাদা নজর দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার সকালে জ্ঞানেশ ভারতী ও তাঁর দল রাজারহাট-গোপালপুরে প্রথম বৈঠক করেন।
এই বৈঠকে রাজারহাট–নিউটাউন এবং রাজারহাট–গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিক ও বিএলও-রা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যাবেলায় বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনার ৩২টি বিধানসভা কেন্দ্রের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার সকালে দলটি যাবে কোলাঘাটে, যেখানে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার ৫০০-রও বেশি বুথের বিএলও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে।
বৈঠকে বুথ ম্যাপিং সংক্রান্ত ত্রুটি, ফর্ম আপডেটের গতি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

নির্বাচনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টিমের পর্যালোচনার ভিত্তিতেই আগামী বছরের শুরুতে ভোট প্রস্তুতির চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারিত হবে। রাজ্যের সব জেলার জন্য একীভূত নির্দেশিকা তৈরি করে নভেম্বরের মধ্যেই তা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

Related posts

আবার হাসি পাহাড়ে! খুলে গেল টাইগার হিল, ফিরছে পর্যটক—তুষারপাতের খবরে বুকিং জমজমাট দার্জিলিং-ডুয়ার্সে

আর নয় ক্যানসেল করে নতুন বুকিং! টাকা গচ্চা না দিয়ে বদলানো যাবে যাত্রার তারিখ! নয়া নিয়ম আনছে রেল

মঙ্গলবার কমল জল ছাড়ার পরিমাণ, ড্রেজিং নিয়েও ভাবছে কেন্দ্র, তৃণমূলের দাবি শুনে জানাল ডিভিসি