নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের জন্য় আগামী ২৬ অক্টোবর তলব করা হয়েছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী অনন্ত দেহাদরিকেও। এথিক্স কমিটির সামনে তাঁদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানান তিনি। সংসদের এথিক্স কমিটিতে পৌঁছায় বিষয়টি। সেই মামলাতেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের জন্য় নিশিকান্ত দুবেকে তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে আইনজীবী অনন্ত দোহাদরিকেও।
তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে উপহার ও টাকা নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রেখেছেন মহুয়া মৈত্র। নিশিকান্তের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এথিক্স কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আবার আইনজীবী অনন্ত দেহাদরি মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিবিআই প্রধানকে চিঠি দিয়েছেন। মহুয়া এবং হিরানন্দানির মধ্যে ঘুষের আদান-প্রদানের ‘অকাট্য’ প্রমাণ হিসেবে দেহাদরির চিঠিটি তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ।
প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রকে সাসপেন্ড করার দাবিতে সরব হয়েছেন নিশিকান্ত দুবে। তাঁর দাবি ঘুষ নিয়ে ব্যবসায়ী দর্শনে হিরানন্দানির হয়ে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র। আদানিকে কোণঠাসা করতে তিনি এই পথ নিয়েছিলেন। এমপি নিশিকান্ত দুবের দাবি ছিল, মহুয়া মৈত্র যে ৬১টি প্রশ্ন করেছেন তার মধ্যে ৫০টি প্রশ্ন ওই ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়েছে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে থাকা ব্যবসায়ী গ্রুপ হীরানন্দানির স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্টো দিকে, একযোগে বিজেপি, আদানি গোষ্ঠী এবং সিবিআইকে আক্রমণ করেছিলেন মহুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আদানি গোষ্ঠী যদি আমাকে চুপ করানোর জন্য বা আমাকে টেনে নীচে নামানোর জন্য সঙ্ঘবাদী আর ভুয়ো ডিগ্রিওয়ালাদের মিথ্যা দলিলে বিশ্বাস করবে বলে ঠিক করে থাকে, তবে আমি বলব, আপনাদের সময় নষ্ট করবেন না, বরং আইনজীবীদের ভালো কাজে ব্যবহার করুন।’’