কলকাতা: ভোটগ্রহণে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম-এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে দেশ জুড়ে। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ইভিএমের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। তারও আগে ২০১৯ সালে গোটা দেশে বিজেপির বিপুল জয়ের পর ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ছোটো-বড়ো প্রায় সব বিরোধী দল। এ বার ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের খসড়া সমীক্ষার ওপর আপত্তি জানাতে মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে আসেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, গত ১৮ অক্টোবর যে ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সমীক্ষা না করে তৃণমূল নেতা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খসড়াটি তৈরি হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভিভিপ্যাট ছাড়া ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। তাঁর কথায়, “পুরভোটে প্রহসন মানুষ দেখেছে। ভিভিপ্যাট ছাড়া কী ভাবে ভোটের মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, ভিভিপ্যাট ছাড়া ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। গায়ের জোরে করেছেন তাঁরা”।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘ইভিএম কারচুপি’র অভিযোগে নাম না-করে কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, ফের ব্যালট ফিরিয়ে নিয়ে আসা হোক। ‘ইভিএম প্রোগ্রামিং’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মমতা দাবি করেছিলেন, “এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করলেও প্রকাশ পাবে, কী ভাবে হাওলার টাকায় ভোট হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, তদন্ত হলে সে সব তথ্যও বেরিয়ে আসবে। ভোট কলঙ্কপূর্ণ। একটা কলেজিয়াম থাকার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ৩০ শতাংশ ইভিএম অকেজো ছিল। এমনকী মক পোলও করা হয়নি”।
আরও পড়ুন: সকাল-সন্ধে হালকা শীতের আমেজ, উত্তুরে হাওয়ায় ক্রমশ কমবে তাপমাত্রা