দেশের দুই প্রান্তে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক। গুজরাটের বনাসকাঁটা এবং পশ্চিমবঙ্গের পাথরপ্রতিমায় এই বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে বহু প্রাণহানি এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুধুমাত্র গুজরাটের মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করা হয়েছে এবং আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলার ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি শোকবার্তা পোস্ট করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘গুজরাটের বনাসকাঁটায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তবে ওই বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের পাথরপ্রতিমার ঘটনার কোনও উল্লেখ ছিল না।
এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘একই ধরনের দুর্ঘটনা, একই রকম ভয়াবহতা। অথচ গুজরাটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরদভরা টুইট ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলার হতাহতদের জন্য কোনও সহানুভূতি নেই! কেন এই বৈষম্য? বিজেপি সবসময় বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। এটাই প্রমাণ করে কেন তাদের বহিরাগত বলা হয়।’
উল্লেখ্য, পাথরপ্রতিমার বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, গুজরাটের বনাসকাঁটায় এই দুর্ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কিন্তু তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। দুটি ঘটনা একই ধরনের হলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।