পটনার পারস হাসপাতালে কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর হাতে ধরা পড়ল আরও পাঁচ অভিযুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া একটি সাদা গাড়ির সূত্র ধরেই বিহারে অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করে রাজ্য এসটিএফ। পরে ধৃতদের বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পারস হাসপাতালের আইসিইউ-তে ঢুকে কেবিনে শুয়ে থাকা চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুন করে তৌসিফ রাজা ও তার দলবল। খুনের পর তারা সাদা গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। সেই গাড়ির সন্ধান পাওয়া যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার সিসিটিভিতে। এরপর পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, গাড়িটি পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের একটি বহুতলে ঢুকেছে। যদিও বহুতলে তল্লাশি চালিয়েও গাড়ি মেলেনি। পরে সেই গাড়িকে একটি গেস্ট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকেই ধৃত পাঁচ জনকে আটক করে এসটিএফ। আনন্দপুরে ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৌসিফ, ইউনিস খান ও হরিশ সিং।
তবে এখানেই শেষ নয়। শনিবার সকালে কলকাতার নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসন থেকেও আরও পাঁচ জনকে আটক করে যৌথভাবে অভিযান চালায় বিহার পুলিশ ও রাজ্যের এসটিএফ। এদের মধ্যে দু’জন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাকি তিনজন কর্মরত। গত কয়েক মাস ধরে তারা ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত। চার বছর আগেও এই আবাসনে লুকিয়ে ছিল ভিনরাজ্যের গ্যাংস্টাররা— সে সময় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক দুষ্কৃতীর। এবার ফের ধরপাকড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসনে।
তবে কলকাতা ও বিহারে ধৃত দুই ‘তৌসিফ’-এর পরিচয় ঘিরে তৈরি হয়েছে ধন্দ। বিহারে ধৃত তৌসিফই কি শার্প শুটার গ্যাংয়ের লিডার, নাকি কলকাতায় ধৃত তৌসিফই মূল অভিযুক্ত? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে তদন্তে নেমেছে দুই রাজ্যের পুলিশই। পুলিশের অনুমান, আনন্দপুর থেকে ধৃতদের সঙ্গে শেরু ও বিহারের তৌসিফের যোগাযোগ থাকতে পারে। গোটা ঘটনাকেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিহার ও বাংলা— দুই রাজ্যের পুলিশই।