কলকাতা: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে মর্মান্তিক ঘটনা। নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন।
মালবাজারের ঘটনার সময় ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। জেলা শাসকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাই নিরাপত্তার কী বন্দোবস্ত ছিল, তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যসচিব।
এ ছাড়াও বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সমস্ত ঘাটগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
মৃত্যু কিংবা ডুবে যাওয়ার মত ঘটনা এড়াতে জেলায় জেলায় বিসর্জনের ঘাটগুলিতে জেলাশাসকদের পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নীচুস্তরের আধিকারিকদের প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ঘাটগুলিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিপর্যয়ে মৃত ৮। বুধবার, দশমীর সন্ধ্যায় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা, টুইটে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর