কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে গত দু’বছর দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হয়নি রেড রোডে। এ বার তাই সাজো সাজো রব। প্রশাসনিক স্তরে সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। কার্নিভাল নিয়ে বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৮ অক্টোবর, শনিবার, বিকেল সাড়ে চারটে থেকে শুরু হবে কার্নিভাল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে কার্নিভাল চলতে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মূল অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টের সময় শুরু হলেও অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটিগুলিকে সকাল ১১টার মধ্যে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার কথা বলা হয়েছে। যে গাড়িগুলি কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে, সেগুলির চালকের নাম-সহ যাবতীয় তথ্য স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। গাড়িগুলির যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মেমোরিয়ালের দিক থেকে প্রতিমাগুলি এগিয়ে যাবে মূল মঞ্চের সামনে। আর সেই সময়ে ওই সব পুজোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজতে থাকবে আবহসঙ্গীত বা থিম সং। নিজেদের উদ্যোগেই বিভিন্ন পুজোর উদ্যোক্তারা প্রতিমার সঙ্গে সুসজ্জিত ট্যাবলোর ব্যবস্থা করেছেন। আগেও যেমন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখা গিয়েছে, এ বারও তেমনটাই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এ বছর পুজোর জৌলুস অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি, কারণ ইউনেস্কো দুর্গা পুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার পর এ বছরই প্রথম কার্নিভাল হতে চলেছে। এই কার্নিভালে অংশ নেবে কলকাতার সেরা ১০০টি পুজো কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী, বিশিষ্ট মানুষজন ছাড়াও এ বার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মণ্ডপ থেকে বের করে আনা হবে প্রতিমাগুলো। রাখা থাকবে রেড রোডে। কোন প্রতিমা কীভাবে রাখা হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই মেগা আয়োজনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, অতিথিদের বসার ক্ষেত্রে তাই বিশেষ আয়োজন থাকছে।
কার্নিভাল উপলক্ষ্যে শুক্র এবং শনিবার বন্ধ থাকবে রেড রোড। তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড খলা থাকবে। খোলা থাকবে জাজেস ঘাট রোড এবং আউট্রাম রোড।
আরও পড়ুন: মাল নদীতে বান-কাণ্ডের পর সতর্ক নবান্ন, বিসর্জন ঘিরে কড়া নির্দেশিকা