ডিভিসি-র পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে একসঙ্গে প্রায় ৫৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার জেরে রাজ্যের একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দামোদর নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হুগলির খানাকুল-সহ আশপাশের অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত সুন্দরপুর এলাকায় একাধিক ঘরবাড়ি ধসে গিয়েছে। হরিপাল ব্লকের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিও চলে গিয়েছে জলের তলায়। আমন ধানের মরসুমে এমন ক্ষতিতে চাষিদের মাথায় হাত। বিঘার পর বিঘা জমি পানির নিচে, ফলে চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় কৃষকরা।
তবে অন্য দিকে, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমায় জেলার নদীগুলিতে কিছুটা জলস্তর নেমেছে। যদিও এখনও কিছু অঞ্চল জলমগ্ন রয়েছে।